ফ্লোরিয়ান ভির্টজকে নিয়ে লিভারপুলের আগ্রহ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন, সাংবাদিকদের তথ্য– কোনোকিছুই থেমে নেই এই দলবদল কেন্দ্র করে। তারপরেও ঝুলে আছে জার্মান তারকার লিভারপুল আগমন। ভির্টজ লিভারপুলেই যাচ্ছেন এই নিয়ে সংশয় অবশ্য নেই।
তবে প্রশ্ন হলো ট্রান্সফার ফি’র অঙ্কটা ঠিক কত হবে। স্কাই স্পোর্টস এবং দ্য গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, সবশেষ এই জার্মান তারকাকে দলে নিতে বায়ার্ন লেভারকুসেনের কাছে ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের অবিশ্বাস্য এক অফার দিয়েছে অলরেডরা। এই দলবদল সম্পন্ন হলে সেটা হবে লিভারপুল ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার।
এর আগে জার্মান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের জন্য ১০৯ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেটা অবশ গত সপ্তাহেই ফিরিয়ে দেয়লেভারকুসেন। নতুন প্রস্তাবে ১০০ মিলিয়ন গ্যারান্টি মানির পাশাপাশি অতিরিক্ত ১৩ মিলিয়ন পারফরম্যান্স ভিত্তিক অ্যাড-অনস রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো বলছে লেভারকুসেনের নির্ধারিত ১২৬ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত যেতে আগ্রহী না লিভারপুল।
তবে আলোচনা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ভির্টজ নিজেই আনফিল্ডে খেলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর তাতেই লিভারপুলও আশাবাদী যে তারা চুক্তিটি সম্পন্ন করতে পারবে। এর আগে জার্মানির হয়ে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে হারের পর এক সাংবাদিকের লিভারপুক সংক্রান্ত প্রশ্নেও ইতিবাচক ইশারা দিয়েছেন ভির্টজ।
এই দলবদল হলে সেটা হবে লিভারপুলের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রান্সফার। এর আগে ২০২২ সালে বেনফিকা থেকে ডারউইন নুনেজকে আনতে ক্লাবটি ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল। ভির্টজের জন্য দেওয়া প্রস্তাবটি অবশ্য কেবল ক্লাব রেকর্ডই নয়, এটি ব্রিটিশ ট্রান্সফার রেকর্ডেরও কাছাকাছি চলে যাবে। ব্রিটিশ দলবদলে সবচেয়ে দামি ট্রান্সফার ছিল ২০২৩ সালে। চেলসি সেবারে ১১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে মইসেস কেইসেডোকে ব্রাইটন থেকে দলে ভেড়ায়।
২২ বছর বয়সী ভির্টজ এখন পর্যন্ত তার পেশাদার ক্যারিয়ারের পুরোটা কাটিয়েছেন বায়ার লেভারকুসেনে। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তিনি ২৫টি ম্যাচে স্টার্টিং ইলাভেনে থেকে ১০টি গোল ও ১২টি অ্যাসিস্ট করেন।
ভির্টজ ছাড়াও নতুন কোচ আর্নে স্লটের অধীনে আরও স্কোয়াড গড়ার পরিকল্পনা করছে লিভারপুল। তারা বোর্নমাউথের লেফট-ব্যাক মিলোস কেরকেজকেও দলে নিতে আগ্রহী। জানা গেছে, কেরকেজ নিজেও লিভারপুলে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী এবং এই ডিলে ব্যক্তিগত চুক্তি নিয়ে কোনো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা নেই।