4:54 pm, Sunday, 22 June 2025

৮২ বছরের বৃদ্ধার বিশ্বরেকর্ড

বয়স যে একটি সংখ্যা মাত্র তার আবারো প্রমাণ করলেন সারা ব্ল্যাকম্যান। তার বয়স ৮২ বছর, বিশ্বরেকর্ড করে শিরোনামে এখন তিনি। যে বয়সে অনেকেই মনে করেন নতুন করে কিছু করার নেই, হাত গুটিয়ে বসে থাকেন মৃত্যুর অপেক্ষায় সেখানে সারা এক অনন্য উদাহরণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সারা ব্ল্যাকম্যান ৮২ বছর ২২৯ দিন বয়সে পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে প্ল্যাঙ্ক পজিশন ধরে রেখেছিলেন। ম্যাসাচুসেটসে বসবাসকারী সারাহ, আগের রেকর্ডধারী অ্যানি জুডিসের চেয়ে প্রায় দুই বছরের বড়, যখন তিনি তার রেকর্ড প্ল্যাঙ্কটি পরিবেশন করেছিলেন।

সারার ফিটনেসের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল দুই বছর আগে। দুই বছর আগে তার স্বামী, আর্থার ওয়েড ব্ল্যাকম্যান জুনিয়র, মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর যত্ন করেছেন তিনি। কিন্তু যখন তিনি মারা যান বেশ একাকীত্ব অনুভব করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন এবার নিজের জন্য কিছু করবেন।

শুরু করের শারীরিক নানান ব্যায়াম করা। যা তাকে ফিট রাখতে পারবে। সারা একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের খোঁজ করতে শুরু করেন। পেয়ে যান ফিটনেস প্রশিক্ষক ভিন্সকে এবং বেসিক ব্যায়াম শুরু করলেন।

ভিন্সই সারাকে প্ল্যাঙ্কের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে অন্যদের মতো সারার এটি করতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি। তিনি চার মিনিট প্ল্যাঙ্ক করতে পারতেন। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় যে হয় তার মধ্যে কিছু সমস্যা আছে অথবা হয়ত আমি তার ধারণার চেয়ে ভালো।

সারার তিন সন্তান এবং তিন নাতি-নাতনি রয়েছে। তার নাতি-নাতনিরাও তার ফিটনেস যাত্রায় উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি প্রায় প্রতিদিনই তার প্ল্যাঙ্কিংয়ে কাজ করতেন এবং তার চ্যালেঞ্জ শেষ করতেন। চার মিনিট থেকে প্ল্যাঙ্কের সময় তিনি ধীরে ধীরে বাড়াতে শুরু করেন।

সারা তার প্ল্যাঙ্কের সময় একটি মজার কাজ করতেন, যা তাকে তার প্ল্যাঙ্কের সময় ধরে রাখতে সাহায্য করত। তিনি লিওনেল রিচির এন্ডলেস লাভ নামের একটি অনুষ্ঠান শুনতেন। যেটি চলত প্রায় ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড।সারা একজন শিশু কার্ডিওলজি টেকনিশিয়ান এবং প্রি-স্কুল পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বাচ্চাদের বড় করার জন্য তার ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে তিনি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করবেন, কারণ কৌশলটি হলো একটি রুটিনে প্রবেশ করা এবং তা মেনে চলা। যা আপনার জীবন আরও সুন্দর করতে সাহায্য করে।

সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

৮২ বছরের বৃদ্ধার বিশ্বরেকর্ড

Update Time : 09:40:17 am, Sunday, 8 June 2025

বয়স যে একটি সংখ্যা মাত্র তার আবারো প্রমাণ করলেন সারা ব্ল্যাকম্যান। তার বয়স ৮২ বছর, বিশ্বরেকর্ড করে শিরোনামে এখন তিনি। যে বয়সে অনেকেই মনে করেন নতুন করে কিছু করার নেই, হাত গুটিয়ে বসে থাকেন মৃত্যুর অপেক্ষায় সেখানে সারা এক অনন্য উদাহরণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সারা ব্ল্যাকম্যান ৮২ বছর ২২৯ দিন বয়সে পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে প্ল্যাঙ্ক পজিশন ধরে রেখেছিলেন। ম্যাসাচুসেটসে বসবাসকারী সারাহ, আগের রেকর্ডধারী অ্যানি জুডিসের চেয়ে প্রায় দুই বছরের বড়, যখন তিনি তার রেকর্ড প্ল্যাঙ্কটি পরিবেশন করেছিলেন।

সারার ফিটনেসের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল দুই বছর আগে। দুই বছর আগে তার স্বামী, আর্থার ওয়েড ব্ল্যাকম্যান জুনিয়র, মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর যত্ন করেছেন তিনি। কিন্তু যখন তিনি মারা যান বেশ একাকীত্ব অনুভব করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন এবার নিজের জন্য কিছু করবেন।

শুরু করের শারীরিক নানান ব্যায়াম করা। যা তাকে ফিট রাখতে পারবে। সারা একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের খোঁজ করতে শুরু করেন। পেয়ে যান ফিটনেস প্রশিক্ষক ভিন্সকে এবং বেসিক ব্যায়াম শুরু করলেন।

ভিন্সই সারাকে প্ল্যাঙ্কের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে অন্যদের মতো সারার এটি করতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি। তিনি চার মিনিট প্ল্যাঙ্ক করতে পারতেন। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় যে হয় তার মধ্যে কিছু সমস্যা আছে অথবা হয়ত আমি তার ধারণার চেয়ে ভালো।

সারার তিন সন্তান এবং তিন নাতি-নাতনি রয়েছে। তার নাতি-নাতনিরাও তার ফিটনেস যাত্রায় উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি প্রায় প্রতিদিনই তার প্ল্যাঙ্কিংয়ে কাজ করতেন এবং তার চ্যালেঞ্জ শেষ করতেন। চার মিনিট থেকে প্ল্যাঙ্কের সময় তিনি ধীরে ধীরে বাড়াতে শুরু করেন।

সারা তার প্ল্যাঙ্কের সময় একটি মজার কাজ করতেন, যা তাকে তার প্ল্যাঙ্কের সময় ধরে রাখতে সাহায্য করত। তিনি লিওনেল রিচির এন্ডলেস লাভ নামের একটি অনুষ্ঠান শুনতেন। যেটি চলত প্রায় ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড।সারা একজন শিশু কার্ডিওলজি টেকনিশিয়ান এবং প্রি-স্কুল পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বাচ্চাদের বড় করার জন্য তার ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে তিনি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করবেন, কারণ কৌশলটি হলো একটি রুটিনে প্রবেশ করা এবং তা মেনে চলা। যা আপনার জীবন আরও সুন্দর করতে সাহায্য করে।

সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস