5:12 pm, Sunday, 22 June 2025

জুলাইয়ের আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

শনিবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন।

এসময় কাজী জাবের নামে এক জুলাই যোদ্ধা বলেন, ঈদে কেউ কোনো খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম আয়েশে ঘুরছেন, ঈদের আনন্দ করছেন। আর আমরা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোনো খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও নষ্ট খাবার দেওয়া হয়েছে।

নাদিম হাসান নামে একজন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কি করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয় ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই!

আরেকজন জুলাই যোদ্ধা আইয়ুব হোসেন বলেন, তাদের আর কি চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কি আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।

আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশা প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। একই সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোনো খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা।

আর ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ইশরাক হোসেন আরও বলেন, এই সরকার যদি অতি দ্রুততম সময়ের আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারো আন্দোলন করে, তাহলে তাদের সাথে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দেবো।

হাসপাতালের দুইটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছন- মো. রাফি হোসেন, কাজী মো. জাবের, মো. আল আমিন, মো. মনির হোসেন, মো. ছাব্বির হোসেন, মো. শাহিন আলম, মো. হাছান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিফাত হাং, মো. পারভেজ মিয়া, মো. শাকিল খান, মো. আব্দল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রুমান হোসেন, মো. জামাল হোসেন, মো. আলম শেখ, মো. দুলাল মান, মো. মনির খান, মো. নাদিম ও আরেকটি ওয়ার্ডে মো. আইয়ুব হোসেন, মো. শামিম মিয়া, মো. সোয়েব, মো. আরাফাত, মো. সজিব হোসেন, মো. শহিদুল, মো. রেজওয়ান, মো. মাহিম, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. মাসুদ, মো. শাহ্ রিয়ায়, মো. মাসুমসহ ৪৮ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জুলাইয়ের আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন

Update Time : 07:37:03 am, Sunday, 8 June 2025

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

শনিবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন।

এসময় কাজী জাবের নামে এক জুলাই যোদ্ধা বলেন, ঈদে কেউ কোনো খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম আয়েশে ঘুরছেন, ঈদের আনন্দ করছেন। আর আমরা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোনো খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও নষ্ট খাবার দেওয়া হয়েছে।

নাদিম হাসান নামে একজন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কি করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয় ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই!

আরেকজন জুলাই যোদ্ধা আইয়ুব হোসেন বলেন, তাদের আর কি চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কি আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।

আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশা প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। একই সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোনো খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা।

আর ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ইশরাক হোসেন আরও বলেন, এই সরকার যদি অতি দ্রুততম সময়ের আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারো আন্দোলন করে, তাহলে তাদের সাথে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দেবো।

হাসপাতালের দুইটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছন- মো. রাফি হোসেন, কাজী মো. জাবের, মো. আল আমিন, মো. মনির হোসেন, মো. ছাব্বির হোসেন, মো. শাহিন আলম, মো. হাছান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিফাত হাং, মো. পারভেজ মিয়া, মো. শাকিল খান, মো. আব্দল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রুমান হোসেন, মো. জামাল হোসেন, মো. আলম শেখ, মো. দুলাল মান, মো. মনির খান, মো. নাদিম ও আরেকটি ওয়ার্ডে মো. আইয়ুব হোসেন, মো. শামিম মিয়া, মো. সোয়েব, মো. আরাফাত, মো. সজিব হোসেন, মো. শহিদুল, মো. রেজওয়ান, মো. মাহিম, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. মাসুদ, মো. শাহ্ রিয়ায়, মো. মাসুমসহ ৪৮ জন।