11:17 pm, Sunday, 22 June 2025

ঈদের আগে শসার সেঞ্চুরি, লেবুতে স্বস্তি

পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে শসার দাম। মানভেদে দ্বিগুণ বেড়ে শসার কেজি দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায়। দুইদিন আগে যেখানে প্রতি কেজি শসার দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। তবে শসার দাম বাড়লেও লেবু ও কাঁচামরিচ কিছুটা স্বস্তিদায়ক দামে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে আদা, রসুন, আলু ও পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মুগদা এলাকার সবজি বিক্রেতা বশির মিয়া জানান, দুইদিন আগে শসা বিক্রি করেছি ৪০ টাকা কেজিতে, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা। হঠাৎ করে আজকে শসার দাম বেড়ে গেছে। পাইকারিতেই দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে বাজারে সরবরাহ চাহিদার কারণে এর দাম বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে শসার কেজি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, লেবুর হালি ১৬ থেকে ২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এছাড়া আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, দেশি রসুন মানভেদে ১০০-১২০ টাকা এবং বিদেশি আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।

দাম বাড়ার প্রসঙ্গে এই সবজি বিক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদের কারণে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানগুলো বেশি ভাড়ার আশায় সবজি না এনে কোরবানির পশু পরিবহন করছে। যার কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ কম। তারপরেও এবার তুলনামূলকভাবে লেবু, কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম কম রয়েছে।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, শসার দাম বেড়েছে যা কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছে, তবে লেবু ও কাঁচামরিচের দাম স্থিতিশীল থাকায় তারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। অনেকেই ঈদ প্রস্তুতির জন্য এসব পণ্য কিনছেন। তাদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি করা হলেও, প্রতিবারই ঈদকেন্দ্রিক দাম বৃদ্ধি একটি বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাজারে সবজি কিনতে আসা শামীম নামে এক ক্রেতা জানান, দুইদিন আগে শসা কিনেছি ৫০ টাকা করে। আজকে চাচ্ছে ১০০ টাকা। কোরবানির ঈদে শসার চাহিদা একটু বেশি থাকে ঠিক আছে; কিন্তু একদিনের মধ্যে দ্বিগুণ বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। এটা সুযোগ বুঝে ক্রেতার পকেট কাটছে।

লেবুর দাম তুলনামূলক কম থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন দাম বেশি হওয়ায় শসা কম নিয়ে লেবু বাড়িয়ে নিচ্ছি।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কাঁকরোল, বরবটি, কচুর লতি, করলা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।

বাজারে ডিমের দাম ১০ টাকা কমে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ঈদের আগে শসার সেঞ্চুরি, লেবুতে স্বস্তি

Update Time : 08:37:40 am, Sunday, 8 June 2025

পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে শসার দাম। মানভেদে দ্বিগুণ বেড়ে শসার কেজি দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায়। দুইদিন আগে যেখানে প্রতি কেজি শসার দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। তবে শসার দাম বাড়লেও লেবু ও কাঁচামরিচ কিছুটা স্বস্তিদায়ক দামে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে আদা, রসুন, আলু ও পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মুগদা এলাকার সবজি বিক্রেতা বশির মিয়া জানান, দুইদিন আগে শসা বিক্রি করেছি ৪০ টাকা কেজিতে, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা। হঠাৎ করে আজকে শসার দাম বেড়ে গেছে। পাইকারিতেই দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে বাজারে সরবরাহ চাহিদার কারণে এর দাম বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে শসার কেজি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, লেবুর হালি ১৬ থেকে ২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এছাড়া আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, দেশি রসুন মানভেদে ১০০-১২০ টাকা এবং বিদেশি আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।

দাম বাড়ার প্রসঙ্গে এই সবজি বিক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদের কারণে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানগুলো বেশি ভাড়ার আশায় সবজি না এনে কোরবানির পশু পরিবহন করছে। যার কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ কম। তারপরেও এবার তুলনামূলকভাবে লেবু, কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম কম রয়েছে।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, শসার দাম বেড়েছে যা কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছে, তবে লেবু ও কাঁচামরিচের দাম স্থিতিশীল থাকায় তারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। অনেকেই ঈদ প্রস্তুতির জন্য এসব পণ্য কিনছেন। তাদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি করা হলেও, প্রতিবারই ঈদকেন্দ্রিক দাম বৃদ্ধি একটি বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাজারে সবজি কিনতে আসা শামীম নামে এক ক্রেতা জানান, দুইদিন আগে শসা কিনেছি ৫০ টাকা করে। আজকে চাচ্ছে ১০০ টাকা। কোরবানির ঈদে শসার চাহিদা একটু বেশি থাকে ঠিক আছে; কিন্তু একদিনের মধ্যে দ্বিগুণ বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। এটা সুযোগ বুঝে ক্রেতার পকেট কাটছে।

লেবুর দাম তুলনামূলক কম থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন দাম বেশি হওয়ায় শসা কম নিয়ে লেবু বাড়িয়ে নিচ্ছি।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কাঁকরোল, বরবটি, কচুর লতি, করলা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।

বাজারে ডিমের দাম ১০ টাকা কমে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ টাকা।